মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব নিস্তব্ধ। করোনার দ্বিতীয় ধাপের আক্রমণ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে অস্ট্রেলিয়া। এখানে করোনা পরিস্থিতি রাজ্যভেদে ভিন্ন। ভিক্টোরিয়ায় গাণিতিক হারে বেড়ে চলেছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে ভিক্টোরিয়া রাজ্যকে। অন্যদিকে অন্যান্য রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় শিথিল করা হয়েছে বিধিনিষেধ।

করোনার প্রভাবে সিডনিতে প্রতি বছরের মতো এবার ঈদে নেই অন্যরকম আনন্দ। সিডনিতে সর্বোচ্চ সর্তকতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদ ও মাসালায় গত ৩১ জুলাই (শুক্রবার) ও ১ অগাস্ট (শনিবার) ঈদের জামাত আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। মসজিদের মুসুল্লিদের সংখ্যা সীমিত করার কারনে অনেক প্রবাসীরা নিজ নিজ বাসায় পরিবার নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
জামাতে নামাজ আদায় করতে মুসুল্লিরা বাসা থেকে জায়নামাজ নিয়ে আসার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার করেছেন। মসজিদ ও মাসালায় হ্যান্ড সেনিটাইজার সরবরাহ করা হয় ও শরীরের তাপমাত্রা মেপে ঈদের নামাজে অংশগ্রহন করতে দেয়া হয়। নামাজ শেষে খুতবায় মহান আল্লাহ‘র কাছে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করেন উপস্থিত মুসল্লিরা। স্বাস্থ্যবিধির কারনে এবার কোলাকুলি থেকে বিরত থাকতে হয়েছে তাদের।

এই বছর এমন একসময়ে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হচ্ছে, যখন সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে করোনার পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ বন্যাপীড়িত। বিত্ত বৈভবের প্রতিযোগিতা ও মহড়া না দেখিয়ে দুস্থ ও দুর্গত মানবতার পাশে দাঁড়ানো এ সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা।