যথাযথ মর্যাদা আর ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সিডনিতে গত ১১ ও ১২ অগাস্ট মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হয়েছে।
কোরবানীর দিনটি হল মুসলমানদের জন্য বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। রাসূলে কারীম (সঃ) বলেছেন, আল্লাহর নিকট দিবস সমূহের মাঝে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হল কোরবানীর দিন, তারপর পরবর্তী তিনদিন। কোরবানী বলা হয় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য অর্জন ও তার এবাদতের জন্য পশু জবাই করা।

এই দিনের করনীয় বিষয়গুলো হলো, ঈদের সালাত আদায় করা, এর জন্য সুগন্ধি ব্যবহার, পরিচ্ছন্নতা অর্জন, সুন্দর পোশাক পরিধান করা, তাকবীর পাঠ করা, কোরবানির পশু জবাই করা ও তার গোশত আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা। এ সকল কাজের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য অর্জন ও সন্তুষ্টি অন্বেষণের চেষ্টা করা।
আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় সিডনিতে বসবাসকারী প্রবাসী মুসলমান ও বাংলাদেশীরা ব্যাংকস টাউন, আরলউড, গ্রানভীল, গ্রিন-ভ্যালি, হক্সটন পার্ক, কিন্সগ্রোভ, লাকেম্বা, লিউমিয়াহ, ম্যাসকট, মিন্টু, মাউন্ট ডুরিথ, রকডেল, সেফটন, সারি-হিলস, ইঙ্গেলবার্ন, ম্যাকুরিফিল্ড গ্লেনফিল্ড, কাম্পবেলটাউন ও লিভারপুল এলাকায় মসজিদ, ইসলামিক সেন্টার, পার্ক, মাসালা কিংবা কনভেনশন হলে ঈদের নামাজের জন্য সমবেত হন।

অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টারের উদ্যোগে মিন্টো ইনডোর স্টেডিয়ামে ১২ অগাস্ট ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়। নামাজে প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লির উপস্থিতিতে মুসলিম ঐক্যের মহামিলনে পরিণত হয়। স্টেট এমপি অনুলাক চাংটিভং, ক্যাম্বেলটাউন সিটি কাউন্সিল মেয়র জর্জ ব্রিটিসিভিক, কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী, রিভারস্টোন মুসলিম সিমেট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী আলী, ভারভিল ক্যাথলিক সিমেট্রি’র প্রকল্প পরিচালক আরমেন মাইকআয়েলিন সহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াত শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা করা হয়। রঙ-বেরঙের পোশাক পড়ে রাস্তায় ছোট ছোট বাচ্চাদের চলাচল, মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার গুলোর সামনে মুসল্লিদের ভিড় ও বাড়িতে বাড়িতে বন্ধু বান্ধবদের বাসায় ঘুরতে যাওয়া সারা সিডনিতে এনে দিয়েছিল ঈদের আলাদা এক চিত্র।

প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিভিন্ন হালাল দোকান ও মুসলিম কমিউনিটি কোরবানির ব্যবস্থা করেছেন। তবে কোরবানির মাংস পাওয়া যাবে ঈদের পর।