কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গত ২৮ জুলাই (রোববার) সিডনি বাঙালি কমিউনিটি ইনক্ ইঙ্গেলবার্নের গ্রেগ পার্সিভাল হল প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী সিডনি-বাংলাদেশি ঈদ এক্সিবিশন এর আয়োজন করে। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আয়োজিত এই ঈদ এক্সিবিশনে ২৬টি স্টলে বাংলাদেশি ও উপমহাদেশীয় সব ধরনের ঈদ পোশাক, শাড়ি, শাল, জুতা ও নানা ধরনের গয়না স্থান পায়।
এই এক্সিবিশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সাংসদ অনুলাক চান্টিভংগ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিংকার্স রিয়েল এস্টেটের নির্বাহী প্রধান মাহমুদ হোসেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান নারীদেরকে ফ্যাশন এবং বুটিক নিয়ে কাজ করার সাথে সাথে অর্থ উপার্জনের এই সফল উদ্যোগ নেয়ার জন্য সিডনি বাঙালী কমিউনিটির অন্যতম সেলিমা বেগম এবং টিমের সকল সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করেন। বিশেষ অতিথি মাহমুদ হোসেন এই এক্সিবিশনের ভূয়সী প্রশংসা করে এই ধরণের সকল কাজে সার্বিকভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
প্রচুর পরিমানে হাল-ফ্যাশনের দেশী ও উপমহাদেশীয় ঈদ বস্ত্রাদি ও অলংকার সামগ্রী ছিল এই এক্সিবশনের প্রতিটি স্টলে। দেশীয় পোষাক,রঙ, ডিজাইন ও ফ্যাশনের উপর গুরুত্ব তুলে ধরাই এই ঈদ এক্সিবিশনের মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল।

ঈদ এক্সিবিশনের আয়োজক সিডনি বাঙালি কমিউনিটি ইনকের পক্ষে পূরবী পারমিতা বোস জানান, যদিও ধারণা করা হয়েছিল কোরবানির ঈদে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম হবে, কিন্তু অবাক ব্যাপার হল দিনব্যাপী এক্সিবিশনে প্রচুর দর্শক ও ক্রেতাদের সমাগম ঘটেছে। পোষাকের গুনগত মান, গহনা ও অন্যান্য সামগ্রী সমাগম এবং নামমাত্র মূল্যের স্টল ভাড়ার কারণে বুটিক হাউজগুলো পন্যের দাম কম রাখতে পেরেছে। ফলে এতে ক্রেতা- বিক্রেতা উভয় পক্ষই খুশী ছিলেন। পর্যাপ্ত ফ্রী কার পার্কিং এবং ট্রেন স্টেশন নিকটবর্তী অবস্থানে হওয়ায় ইঙ্গেলবার্নের এই আয়োজনে এবার আশাতীত ক্রেতা আসেন। হাল-ফ্যাশনের পণ্যের জোগান থাকায় ক্রেতারা আগামী আসরেও অনেকে আসবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।